
বিএনপির লাল কার্ড শূন্য: সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের
অনলাইন ডেস্ক: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মির্জা ফখরুল লাল কার্ড দেখাতে গিয়ে শূন্য হাতে ফিরলেন। সরকার পতন, ৫৪ দল, ১০দফা, তত্বাবধায়ক সরকার সবই ভুয়া। বিএনপির হাঁকডাক, লোটাকম্বল, মশার কয়েল, ৭দিন আগ থেকে সমাবেশের প্রস্তুতি সবই ব্যর্থ। আব্দুল জলিলের ট্রার্ম কার্ডের ফলাফলের কথা স্বরণ করিয়ে দিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘জলিল ভাইয়ের ট্রাম কার্ডের পর ফখরুল ইসলামের লাল কার্ড ফলাফল শূন্য... লাল কার্ড ভুয়া... ভুয়া।
বুধবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের আয়োজিত ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন। ওবায়দুল কাদের সংবাদ মাধ্যমে বলেছেন, তাদের ট্রাম কার্ডের ফলাফল কী হয়েছিল আপনারা সবাই জানেন। বিএনপি এখন পথ হারা পথিকের মতো, তাদের আন্দোলনের ঢেউ এসেছিল। এখন জোয়ার থেকে ভাটা নেমে গেছে। খেলা এখনো শুরু করিনি। খেলা শুরু করলে কোথায় যাবেন?
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্যে কাদের বলেন, কোনো ব্যক্তি হঠাৎ বাঁশিতে ফু দিলেন আর স্বাধীনতা চলে আসলো তা নয়, আচমকা আসমান থেকে স্বাধীনতা আর্বিভূত হয়নি। স্বাধীনতার বীর বাঙালিরা হাজার বছর ধরে জীবন দিয়েছে এই স্বাধীনতার জন্য। স্বাধীনতা একদিনে আসেনি। কোনো কোনো রাজনৈতিক দল গণঅভ্যুত্থানের কথা বলে, এই দেশে গণঅভ্যুত্থান একবারই হয়েছিল। ৯০যেটা হয়েছে সেটা একটা গণআন্দোলন, গণঅভ্যুত্থান না। এরশাদের ভিত দুর্বল ছিলো বলে গণআন্দোলনে অযথা পদত্যাগ করেছিল।
‘বিএনপি সোহরাওয়ার্দীতে আন্দোলন না করে গরুর হাটের আন্দোলন করেছে। বিএনপির আন্দোলন থেকে জোয়ার থেকে ভাটার এখন দিকে যাচ্ছে। ভুয়া জোটের মাধ্যমে গঠন করা বিএনপি দল নামক এ ভুয়াদের জনগণ আর বিশ্বাস করে না। বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান আবেদন করে বাকশালের সদস্য হয়েছেন জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি বাকশাল নিয়ে কথা বলে এটা জাতীয় দল, এ দলে বঙ্গবন্ধুর কাছে জিয়া দরখাস্ত করে সদস্য হয়েছিলো, প্রমাণ আছে।
আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, আওয়ামী লীগ এখনো মাঠে নামে নাই, কেবল মহড়া দিচ্ছি মাত্র তাতেই বিএনপিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আওয়ামী লীগ মাঠে নামলে বিএনপির কি হবে?
‘আওয়ামী লীগ এখনো মাঠে নামে নাই, কেবল মহড়া দিচ্ছি মাত্র। মাঠে নামলে বিএনপিকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। গণঅভ্যুত্থান করতে মানুষ লাগে। কিন্তু বিএনপির সাথে কোন জনসম্পৃক্ততা নেই। রাজপথে সন্ত্রাস আর নৈরাজ্য করে ক্ষমতায় যাওয়ার চিন্তা করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশে থেকে কঠোর জবাব দেবে আওয়ামী লীগ।
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে লজ্জাজনক পরাজয়ের জন্য বিএনপিকে অপেক্ষা করতে হবে। যারা বলে স্বাধীনতা এমনিই আসছে তাদের উদ্দেশ্য বলি স্বাধীনতা এমননি আসেনি বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দীর্ঘ সংগ্রামের মাধ্যমে এসেছে। আর জিয়াউর রহমান হলো আপনা আপনি মুক্তিযোদ্ধা।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম বলেন, বিএনপি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে ধ্বংস করতে চায়। তারা নির্বাচন মানে না আদালত মানে না। দেশে কোন অবস্থায়ই তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসবে না। বিএনপিকে দিয়ে দেশে গণঅভ্যুত্থান সম্ভব না। ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে পারবে না বলেই ষড়যন্ত্রের পথে হাঁটছে বিএনপি।
ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সঙ্গে নেতাকর্মীদের মাঠে থাকার আহ্বান জানিয়ে আগামী নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করা হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মাঠে থাকবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে বিএনপি আবারও ষড়যন্ত্র করছে কারণ তারা জানে এ নির্বাচনে তারা হেরে যাবে। জঙ্গিবাদ, খুন, অত্যাচারসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ছিল বিএনপির। তাই জনবিচ্ছিন্ন কাজের জন্যই জনগণ তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।
‘আমাদের স্বাধীনতা দীর্ঘ সংগ্রামের মাধ্যমে এসেছে। কারো বাঁশির ফু এর মাধ্যমে আসেনি। ১৯৪৯ সালের আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার মধ্যে দিয়ে বাঙালির অধিকার আদায়ের কাজ করে গেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু। শুরু থেকে বঙ্গবন্ধুকে হামলা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছিল পাকিস্তান কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে থামাতে পারেনি। বাঙালির অধিকার আদায়ের ইতিহাস রচনা করেন বঙ্গবন্ধু। বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় জেল অত্যাচার কম ভোগ করেনি।’
হানিফ বলেন, যারা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে সন্দিহান তারা এদেশের শত্রু। যারা এখানো সংবিধান সমালোচনা করে তারা পাকিস্তানের দোসর। ‘যারা এখনো বলে স্বাধীনতা আপনা আপনি আসতো এরা এদেশের স্বাধীনতাকে বিশ্বাস করে না। স্বাধীনতা হঠাৎ করে আসনি। দীর্ঘ লড়াই সংগ্রামের মাধ্যমে৷ বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীনতার এসেছে।’
আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন হানিফ বলেন, আবার শেখ হাসিনাকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করে দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে হবে। কিন্তু বিএনপি নির্বাচন বন্ধ করতে ষড়যন্ত্র করছে। খালেদা জিয়া যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তখন তার ছেলে তারেক জিয়া হাওয়া ভবন তৈরি করে লুটপাট করেছিল। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চলনা করেন সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির।
tags
comment / reply_from
related_post
Popular Posts
newsletter
newsletter_description