দেশব্যাপী কৈশোরকালীন পুষ্টি নিশ্চিতকরণে শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে পাঠানো ফলিক অ্যাসিড আয়রন ট্যাবলেট খেয়ে রেবা খাতুন নামের একজন ছাত্রী মারা গেছে।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হাট গোপালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী ছিল রেবা খাতুন। এছাড়া আয়রন ট্যাবলেট খেয়ে একই স্কুলের আরও সাতজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাদের হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে।
রেবা খাতুন সদর উপজেলার উত্তর সমশপুর গ্রামের সাগর হোসেনের মেয়ে।
সোমবার, ২৮ মার্চ সকাল সাড়ে ১০টায় হাট গোপালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের আয়রন ট্যাবলেট খাওয়ানো শুরু হয়। ট্যাবলেট খাওয়ানোর আধা ঘণ্টা পরই রেবা খাতুন অসুস্থ হয়ে পড়ে। বমি করতে থাকে সে।
দ্রুত রেবাকে স্থানীয় এক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি ঘটায় তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
একই দিন হাট গোপালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের তিন শতাধিক শিক্ষার্থীকে আয়রন ট্যাবলেট খাওয়ানো হয়। তাদের মধ্যে সাতজন শিক্ষার্থী আয়রন ট্যাবলেট খাওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়ায় ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে মহিলা ওয়ার্ডে রেখে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাদের শারীরিক অবস্থা ভালো আছে।
ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডা. শুভ্রা রাণী দেবনাথ বলেন, আয়রন ট্যাবলেট খেয়ে মৃত্যু হয়েছে- এমন নজির নেই। মেয়াদোত্তীর্ণও ওষুধ খেলেও সর্বোচ্চ পাতলা পায়খানা হতে পারে। তারপরও মৃত্যুর কারণ নির্ণয় করার জন্য সদর হাসপাতালের শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ আনোয়ারুল ইসলামকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিন কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।