কামরুজ্জামান শাহীন, ভোলা প্রতিনিধি: ভোলার লালমোহনে মন্দিরের খুঁটির সাথে বেঁধে জয় চন্দ্র মিস্ত্রি (২৩) নামের এক প্রতিবন্ধী যুবককে অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগে তাপস (৩০) নামের এক আসামীকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাত ২ টার দিকে লালমোহন থানার উত্তর বাজার এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।নির্যাতনের শিকার জয় চন্দ্র মিস্ত্রি উপজেলার রমাগঞ্জ ইউনিয়নের শুন্যচর গ্রামের শ্যামল দাসের ছেলে।
নির্যাতনের শিকার জয়ের বাবা শ্যামল দাস জানান, একই বাড়ির তাপসের এক আত্মীয় বেড়াতে আসলে তাকে চড় মারে জয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাপস ও অশোক বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার দিকে জয়কে ধরে নিয়ে মন্দিরের খুটির বেঁধে মারধর করে। মারধরের সময় তাপসের ওই আত্মীয়ও সেখানে ছিল।
তিনি আরও জানান, জয় ১০ বছর বয়স থেকেই মানসিক প্রতিবন্ধী। ৩ সন্তানের মধ্যে সকলের বড় জয়। তার মানসিক চিকিৎসার জন্য পাবনাসহ বিভিন্নস্থানে নেয়া হয়েছে। তবুও জয়ের কোনো উন্নতি হয়নি। শ্যামল পেশায় একজন নরসুন্দর। পাঙ্গাসিয়া বাজারে তিনি সেলুন চালান। বৃহস্পতিবার বিকালে খবর পেয়ে তিনি বাড়ি আসেন। জয়কে এরআগেও তাপসরা বেশ কয়েকবার মারধর করেছে। তবে এবারের ঘটনা বেশ অমানবিক হওয়ায় ভিডিও করে কেউ একজন এটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল করে দেয়।
লালমোহন থানার (ওসি) মো. মাকসুদুর রহমান বলেন, নির্যাতনের শিকার ওই যুবকের ভাইরাল ভিডিও ভোলা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের নজরে আসলে লালমোহন থানাকে দ্রুত আসামী আটকের নির্দেশনা প্রদান করেন।
বৃহস্পতিবার রাত ২ টার দিকে ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তাপস নামের একজনকে আটক করেন পুলিশ।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাতে ১৯ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায়, উপজেলার রমাগঞ্জ ইউনিয়নের কর্তারহাটের রাঁধা গোবিন্দ মন্দিরের খুঁটির সাথে বেঁধে এক যুবককে দুইজন মিলে লাঠি দিয়ে এলোপাথারী মারছে। এসময় যুবককে আর্তচিৎকার করতে শোনা যায়।
বৃহস্পতিবার রাতেই পুলিশ তাকে উদ্ধার করে লালমোহন হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।