
আবুল কাশেম রুমন, সিলেট থেকে : সিলেট বিভাগে ৪ লাখ পশু নিয়ে কোরবানির প্রস্তুতি চলছে। তবে এ বছর কোরবানির পশুর হাঠ তেমন জমবে না বলে সংশ্লিষ্টদের ধারণা।
বন্যার কারণে সিলেটের প্রাণিসম্পদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অনেকের গৃহপালিত পশু গরু, মহিষ ও ছাগল, ভেড়া বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। মারা গেছে কয়েক হাজার পশু। এতে আসন্ন ঈদে কোরবানিযোগ্য পশুর চাহিদা পূরণ নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। অবশ্য সেই শঙ্কার কথা উড়িয়ে দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
সিলেটের প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের তথ্যমতে, আসন্ন ঈদুল আযহায় সিলেট বিভাগে কোরবানিযোগ্য পশুর সংখ্যা ২ লাখ ৪৩ হাজার ৮০৩টি। এসব পশু কেনাবেচার মাধ্যমে কোরবানি হবে। এছাড়া এবার ঘর থেকে আরো দেড় লক্ষাধিক পশু কোরবানির কথা রয়েছে। সব মিলিয়ে সিলেটে এবার কোরবানি হবে প্রায় ৪ লাখ পশু।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সিলেট বিভাগে ১৪ হাজার ৯৭১ জন খামারীর কাছে ২ লাখ ৪৩ হাজার ৮০৩টি কোরবানিযোগ্য পশু রয়েছে। এর মধ্যে ৯১ হাজার ৩৭৫টি ষাঁড়, ২৭ হাজার ৪৬৬টি বলদ, ২৩ হাজার ৪৯০টি গাভী, ৮ হাজার ৯৩৬টি মহিষ, ৬২ হাজার ৬১৩টি ছাগল ও ২৯ হাজার ৯২৩টি ভেড়া রয়েছে। এছাড়া পারিবারিকভাবে আরো ১ লাখ ৫০ হাজার ৪০৩টি পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।
গত বছর ঈদুল আযহায় সিলেট বিভাগে কুরবানী হয়েছিল ৪ লাখ ৮ হাজার ৯৮০টি পশু। সেই হিসাবে সিলেট বিভাগে আরো প্রায় ১৫ সহস্রাধিক পশুর ঘাটতি রয়েছে। যদিও যথা সময়ে এই চাহিদা পূরণ হবে বলে আশ্বস্ত করেছে প্রাণিসম্পদ কর্তৃপক্ষ।
প্রাণিসম্পদ কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন ঈদুল আযহায় সিলেট জেলায় ৭৭ হাজার ৩৯২টি কোরবানিযোগ্য পশু রয়েছে। এর মধ্যে ষাঁড়, বলদ ও গাভী আছে ৪৩ হাজার ৭৭৪টি, মহিষ ৪ হাজার ৬৫২ টি ও ছাগল- ভেড়া ২৮ হাজার ৯৬৬টি।
সুনামগঞ্জ জেলায় ৬৯ হাজার ২৮৯টি কোরবানিযোগ্য পশুর মধ্যে ষাঁড়, বলদ ও গাভীর সংখ্যা ৪৬ হাজার ৮২৮টি, ১ হাজার ৭৯৪টি মহিষ, ২০ হাজার ৬৬৭টি ভেড়া ও ছাগল রয়েছে।
মৌলভীবাজার জেলায় ৩৯ হাজার ১৩টি কোরবানিযোগ্য পশুর মধ্যে ষাঁড়, বলদ ও গাভী রয়েছে ১৯ হাজার ৪১৭টি, মহিষ ১ হাজার ৭৫৭টি, ছাগল ও ভেড়া আছে ১৭ হাজার ৮৩৯টি।
হবিগঞ্জ জেলায় ৫৮ হাজার ১০৯টি কোরবানিযোগ্য পশুর মধ্যে ষাঁড়, বলদ ও গাভী আছে ৩২ হাজার ৩১২টি, মহিষ আছে ৭৩৩টি, ছাগল ও ভেড়া আছে ২৫ হাজার ৬৪টি।
সিলেট প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক ড. মোহাম্মদ জাকির হোসেন জানান, বন্যার কারণে সিলেটে গৃহপালিত পশুর ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে এটা সত্য। তবে এতে বাজারে কোরবানিযোগ্য পশুর খুব একটা ঘাটতি থাকবে না। কোরবানির হাটে প্রতিবছর বাইরের জেলা থেকে কিছু পশু আসে। এবারও এর ব্যতিক্রম হবে না। যে ঘাটতি থাকবে সেটা অন্য জেলার পশু থেকে পূরণ হয়ে যাবে।
