প্রথম টেস্টে মাত্র ৫৩ রানে এক ঘন্টার মধ্যেই অলআউট হয়ে বিরল নজির গড়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। এবার দ্বিতীয় টেস্টেও কাণ্ডজ্ঞানহীন ব্যাটিংয়ে মাত্র ৮০ রানে অলআউট হয়ে হোয়াইটওয়াশ টাইগাররা। তারা দ্বিতীয় টেস্টেও লজ্জাজনক হারের মধ্য দিয়ে ২-০ তে সিরিজ হেরেছে।
আউটের ধরন দেখে অবাক না হয়ে উপায় নেই। বাংলাদেশ হেরেছে ৩৩২ রানে। জয়ের জন্য ৪১৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩ উইকেটে ২৭ রানে তৃতীয় দিন শেষ করেছিল বাংলাদেশ। উইকেটে ছিলেন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মুমিনুল হক ও মুশফিকুর রহিম। জয় থেকে তখনো ৩৯৬ রানের দূরত্বে পিছিয়ে বাংলাদেশ।
মুশফিক, মুমিনুল, ইয়াসির আলী ও লিটন দাসের যেন বাড়িতে ফেরার তর সইছিল না। ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী কথা ছিল উইকেট কামড়ে পড়ে থাকতে হবে। যেকোনোভাবে দিনটা পার করার চেষ্টা করতে হবে। সেজন্য দেখেশুনে ব্যাটিংয়ের কোনো বিকল্প ছিল না।
কিন্তু দিনের দ্বিতীয় ওভারেই মুশফিক ঝুঁকিপূর্ণ ড্রাইভ খেললেন।
স্লিপে ক্যাচ দিয়ে মুশফিক (১) ফেরার এক ওভার পর যেন আত্মহত্যা করে বসলেন অধিনায়ক মুমিনুল। দিনের চতুর্থ ওভারে মহারাজের প্রথম বলেই মুমিনুলের কেন যে মনে হলো সুইপ করে ছক্কা মারতে হবে! বল তার ব্যাটের কানায় লেগে আকাশে উঠে যায়। ক্যাচ ধরেন রিকেলটন।
মুমিনুল আউট হওয়ার পরের ওভারেই ইয়াসির আলী অফ স্পিনার সাইমন হারমারকে মিডউইকেট দিয়ে উড়িয়ে মারার সাধ জাগে। পার করতে পারেননি, তাই ক্যাচ আউট। টানা তিনটি এমন আউটের পরও লিটনও প্যাভিলিয়নে ফেরার বায়না ধরেন। আর তাই তো এগিয়ে এসে ছক্কা মারতে রান আউট হন তিনি। এর মধ্য দিয়ে ইনিংসে ৫ উইকেট হয়ে যায় মহারাজের।
নিজের পরের ওভারেই মেহেদী হাসান মিরাজকে উইকেটের পেছনে ক্যাচে পরিণত করেন মহারাজ। এরপর মহারাজের শিকার খালেদ আহমেদ। আর শেষ উইকেট হিসেবে হার্মারের বলে বিদায় নেন তাইজুল। প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসের মতো দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসেও ৭ উইকেট নেন মহারাজ।